পাঠক, ১০ টি কারণে আপনার ইসলাম বাতিল হবে।
- প্রথমটা হলো আপনি যদি আল্লাহর সাথে আনুগত্যে কাউকে শরিক করেন। সুমহান আল্লাহ বলেছেন, ﴾আল্লাহ তাঁর সাথে কাউকে শরিক করলে কক্ষনো ক্ষমা করেন না। তবে এরচে কম কিছু হলে তিনি যাকে ইচ্ছে ক্ষমা করেন।﴿ [৪:১১৬] তিনি অন্য জায়গায় বলেছেন, ﴾যে আল্লাহর সাথে কাউকে সঙ্গী জুড়বে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করবেন। তার বাস হবে নরকে। দুরাচারীদের কোনো মদদগার নেই।﴿ [৫:৭২] এই ধরনের যে-কাজগুলো করলে আপনার ইমান থাকবে না তার মধ্যে আছে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও উদ্দেশ্যে পশুপাখি জবাই। যেমন যদি কোনো জিন বা কবরের উদ্দেশ্যে করেন।
- আপনি যদি আল্লাহ আর নিজের মধ্যে কাউকে মধ্যস্থতাকারী বানান, তার কাছে প্রার্থনা করেন, তার কাছে চান, তার ওপর আস্থা রাখেন, আলিমদের সবার মতে তা হলে আপনি অবিশ্বাসী।
- আপনি যদি বহু ঈশ্বরপূজারিদের অবিশ্বাসী না বলেন, বা তাদের অবিশ্বাসী হওয়া নিয়ে সন্দেহ রাখেন, বা তাদের এইসব কাজকর্মে সায় দেন তা হলে অবিশ্বাসী।
- যদি মনে করেন নবি মুহাম্মাদের দিকনির্দেশনার চেয়ে অন্য কোনো দিকনির্দেশনা পূর্ণাঙ্গ, বা তাঁর রায়-ফায়সালার চে অন্য কারও রায়-ফায়সালা ভালো—যেমন কেউ নবিজির বিধানের চে ‘তাওয়াগিত‘-এর বিধান পছন্দ করে—তা হলে আপনি অবিশ্বাসী।
- নবি সা. যেসব নিয়ে এসেছেন, আপনি যদি সেগুলো অপছন্দ করে, আপনি তা হলে ওগুলো মোতাবেক কাজ করলেও অবিশ্বাসী।
- আপনি যদি নবিজির ধর্ম নিয়ে মশকরা করেন, বা আল্লাহর পুরস্কার কিংবা শাস্তি নিয়ে টিটকারি করেন, আপনি অবিশ্বাসী। সুমহান আল্লাহর এই বাণী এর প্রমাণ: ﴾ওদের বলো, ‘তোমরা কি আল্লাহ, তাঁর আয়াত বা তাঁর বাণীবাহককে নিয়ে হাসাহাসি করছ? কোনো অজুহাত দিয়ো না। বিশ্বাস করে তোমরা আবার অবিশ্বাস করেছ।﴿ [৯:৬৫-৬৬]
- সার্ফ কিংবা আত্ফের মতো জাদুটোনা। আপনি যদি এই ধরনের জাদুটোনা চর্চা করেন, বা এগুলোতে খুশি থাকেন, আপনি অবিশ্বাসী। এর প্রমাণ, আল্লাহ বলেছেন, ﴾‘আমরা কিন্তু পরীক্ষা। অবিশ্বাস কোরো না।‘—আগে একথা না বলে ওরা দুজন কাউকে (জাদু) শেখায়নি।﴿ [২:১০২]
- বহু ঈশ্বরপূজারীদের বিজয়ী করতে চান, বা মুসলিমদের বিরুদ্ধে তাদের মদদ দেন। এর প্রমাণ, আল্লাহ বলেছেন, ﴾যারা তাদের সহযোগী বানাবে, তারা তাদেরই একজন। আল্লাহ কখনো দুরাচারীদের দিশা দেন না।﴿ [৫:৫১]
- কারও কারও জন্য নবি মুহাম্মাদের শারিআর বিরুদ্ধে যাবার অনুমোদন আছে—এমনটা যদি ভাবেন—যেমন মুসা নবির শারিআর বিরুদ্ধে খাজির গিয়েছিল—আপনি অবিশ্বাসী।
- আল্লাহর ধর্ম থেকে যদি মুখ ফেরান, এটা সম্বন্ধে না শেখেন, এটা মোতাবেক না চলেন। এর প্রমাণ, মহান আল্লাহ বাণী, ﴾যাকে তার প্রভুর বাণী মনে করিয়ে দেয়ার পরও সে মুখ ফেরায় তার চে বড় জালিম আর কে? আমি অবশ্যই দুষ্কৃতিকারীদের উচিত সাজা দেব।﴿ [৩২:২২]
ওপরের যে-কাজগুলো করলে আপনার ইমান থাকবে না, সে-কাজগুলো আপনি মজার ছলে করুন, কি ইচ্ছে করে, বা ভয়ে—কোনো পার্থক্য নেই। পার্থক্য শুধু যদি জবরদস্তির শিকার হয়ে করেন।
ওপর বিষয়গুলো খুবই খতরনাক। হামেশাই ঘটে। আপনার সেজন্য এসব বিষয়ে হুঁশিয়ার হতে হবে। এগুলোতে যেন পিছলে না যান মনে সেই ভয় রাখবেন। যেসব কাজ আল্লাহর ক্রোধ আর শাস্তি আনে, আমরা সেসব কাজ থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই।
আল্লাহ তাঁর সৃষ্টির সেরা মুহাম্মাদ, তাঁর পরিবার ও সাহাবিদের মর্যাদা বাড়িয়ে দিন। তাঁদের ওপর শান্তির বারিধারা ঝরান।
অনুবাদ: মাসুদ শরীফ