সফলতার কোনো সহজ সূত্র নেই। প্রতিভার সঙ্গে প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম। আল্লাহ চায় তো, তবেই আসবে সফলতা।
গবেষকদের মতে, কেউ যদি কোনো কাজে সফল হতে চায়, তাহলে সেই কাজে শুধু প্রতিভাবান হলেই হবে না। কাজটা নিয়মিত নিরলসভাবে করে যেতে হবে। কাজটাকে অভ্যাসে পরিণত করতে হবে।
আল্লাহর বার্তাবাহক মুহ়াম্মাদ (তাঁর উপর বর্ষিত হোক আল্লাহর শান্তি ও আশীর্বাদ) বলেছেন,
“…অল্প পরিমাণে করা হলেও, সর্বোত্তম কাজ সেটাই যেটা ধারাবাহিকভাবে করা হয়। (সুনান ইব্ন মাজাহ, হাদীস নং ৪২৪০; স়াহ়ীহ়)
আমি লেখক হতে চাই। আমাকে প্রতিদিন লিখে যেতে হবে।
আমি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে চাই। আমাকে নিয়মিত ব্যায়াম করে যেতে হবে।
মোদ্দাকথা আমি যে কাজেই সফল হতে চাই, সেটাকে অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। কোনো কাজ যখন অভ্যাসে পরিণত হবে, তখন সেটা করতে কষ্টকে কষ্ট মনে হবে না।
সাইকোলজিস্টদের মতে, একটা কাজ যখন নিয়মিত করা হবে, তখন ক্যালেন্ডারের পাতায় বড় করে লাল কালিতে ক্রস চিহ্ন আঁকতে হবে। এভাবে ধারাবাহিকভাবে যখন একটা চেইন তৈরি হবে, তখন কাজে গড়িমসি বা আলসেমি এলে ক্যালেন্ডারে নজর দিলে নিজের মনই বলে উঠবে চেইনটা যেন না-ভাঙি। ত্রিশ মিনিট হলেও কাজটা যেন করি।
একটা কাজ প্রতিদিন যদি ত্রিশ মিনিট করা হয়, তার মানে সপ্তাহে ২১০ মিনিট বা ৩ ঘন্টা ৩০ মিনিট। মাসে ৯ শ মিনিট মানে ৩৭.৫ ঘন্টা বা দেড় দিন।
সময় দ্রুত চলে যাচ্ছে। জীবন থেমে থাকবে না। আমরা যদি আমাদের জীবনের সঠিক মূল্যায়ন না-করি, সুব্যবহার না-করি পস্তাব আমরাই। অনলাইনে তর্কাতর্কি করে অযথাই অনেক সময় নষ্ট করি। যা আমার না বললেও হতো তা টাইপ করে কিবোর্ডের আয়ু কমাই। অথচ সে সময়টা আত্ম-উন্নয়নে কাজে লাগানো যেত। ক্যারিয়ারে পদোন্নতির জন্য নতুন কোনো জিনিস শেখায় ব্যবহার করা যেত। পারিবারিক সম্পর্ক উন্নয়নে বিনিয়োগ করা যেত।
আসুন নিজের মনকে জিজ্ঞেস করি, আজ থেকে অত বছর পর নিজেকে কী হিসেবে দেখতে চাই? নিজেকে কী হিসেবে পরিচয় দিতে চাই? আমি কি সেদিকে এগিয়ে যাচ্ছি? নাকি সাময়িক তৃপ্তির জন্য অনলাইনে সময় নষ্ট করে দিন পার করছি?
ওয়া 'আলাইকুমুস-সালাম।
কিন্তু সত্যি কথা বলতে কি, ওভাবে শুধু নোটিফিকেশন আর কমিউনিকেশনের জন্য ব্যবহার করতে গেলে, ফাঁকে ফাঁকে ওয়াল পোস্ট চেক করার একটা প্রবণতা থেকেই যায়। আমি পারিনি। তাই ফেসবুক বন্ধ করে দিয়েছি।
যারা পারেন, তারা মহান!